Jump to content

User talk:Sharminkhan0

Page contents not supported in other languages.
From Wikipedia, the free encyclopedia

গ্রিন টি পানের উপকারিতা ও অপকারিতা

গ্রীন টি বা সবুজ চা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। ৪ হাজার বছর পূর্বে চীনে মাথা ব্যথার ওষুধ হিসেবে এর ব্যবহার শুরু হলেও সময়ের ব্যবধানে সারা বিশ্বে এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়।সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বয়স্ক যেসব মহিলা সবুজ চা পান করেন- তাদের যকৃত, মলাশয়, পাকস্থলী, স্তন ও কণ্ঠনালীর ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কম।

এক দশকের বেশি সময় ধরে (১১ বছর) ৬৯ হাজার ৩১০ জন চীনা মহিলার ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই তথ্য পেয়েছেন একদল গবেষক। গ্রীন টি মোটা মানুষের জন্য খুবই উপকারী স্লিম হওয়ার জন্য। প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট আছে। ত্বক চুলের জন্য ভাল। দাঁতের ক্ষয়রোধে এরচেয়ে ভাল জিনিষ আর মনে হয় নেই। ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। হার্টের অসুখ কমায়। এছাড়া রক্তে ক্লোস্টরেল কমায়। ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোক কমায়। আরো বেশ কিছু উপকার আছে। একটি মাত্র সমস্যা হতে পারে। বেশি পান করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

গ্রীন টি বা সবুজ চা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি।১৯৯৪ সালে Journal of the National Cancer Institute থেকে প্রকাশিত জার্নাল এ বলা হয়, সবুজ চা পানে ৬০% ক্যান্সার ( ইসোফেজিয়াল) দূর করা সম্ভব হয়েছে চীনাদের ক্ষেত্রে। University of Purdue এর গবেষকরা আবিস্কার করেন সবুজ চা ক্যান্সার কোষ প্রজনন প্রতিরোধ করে। আরো কিছু গবেষনায় জানা যায়, সবুজ চা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল লেভেলের পরিমান কমিয়ে দেয়। সবুজ চা এর প্রধান ক্যারিশমাটা হলো এর একটা উপাদান epigallocatechi nallate (EGCG) যা একটি শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ ট। EGCG কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই শরীরের ক্যান্সারকোষ প্রজনন ক্ষমতা একদম নষ্ট করে ফেলে।

গ্রীন টির আরও কিছু উপকারিতা:

১. গ্রীন টি ওজন কমাতে খুব-ই উপকারী।

২. গ্রীন টি কিডনি রোগের জন্য উপকারী।

৩. গ্রীন টি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

৪. গ্রীন টি পান করলে রক্তের প্রবাহ ভালো হয় এবং ধমনী শিথিল হয়।

৫. গ্রীন টি রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়।

৬. গ্রীন টি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।

৭. এর লিকার দাঁতের য়রোধ ও মাড়ি শক্ত করে।

৮. কাটা জায়গায় গ্রিন টির লিকার লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

৯. ক্ষতিকর আল্ট্রা-ভিওলেট রশ্মী থাকে রক্ষা করে।

১০. গ্রীন টি এন্টি-এজিং ক্ষমতা সম্পন্ন ।

১১. পোকামাকড় কামড়ালে যদি ওই স্থান চুলকায় ও ফুলে যায় তাহলে সবুজ চায়ের পাতা দিয়ে ঢেকে দিলে আরাম বোধ হয়।

১২. গ্রীন টির ভিটামিন সি সর্দি কাশি প্রতিরোধ করে।

১৩. নিয়মিত গ্রহণে ব্রন প্রতিরোধ করে।

১৪.জাপানের একটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে গ্রীন টির epigallocatechin-3-gallate (EGCG), সুস্থ্য কোষের সঙ্গে HIV এর সংযোজন ব্যহত করে। ফলে AIDS এর মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়।Camellia Sinensis পাতাকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করেগ্রীন টি বা সবুজ চা উৎপাদন করা হয়। ঠিক ব্ল্যাক টি (আমরা যেটা খাই) এর মত। এটার সামান্য একটা দূর্বল দিক হলো, এটাতে সামান্য পরিমানে একটু ক্যাফেইন থাকে যা ব্ল্যাক টি এর ক্যাফেইন এর মত শরীরের জন্য এত মারাত্বক বা ক্ষতিকর নয়। তবে এর রোগ প্রতিরোধের কার্যকারিতার দিকে তাকালে অনায়াসেই এই দুর্বলতা বাদ দেয়া যায়। বাংলাদেশের বড় যে কোন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেই এর দেখা মিলবে।

কিডনি, ডায়াবেটিস ও মূত্রনালীর ইনফেকশন এগুলোর জন্য দিনে সাধারনত ৩ লিটার পানি খেতে ডাক্তাররা পরামর্শদেন। পরামর্শ হলো, ৩ লিটার পরিমান গরম পানিতে কিছু পরিমান সবুজ চা পাতা বা একটা সবুজ টি প্যাকেট ছড়িয়ে দিন। পানি ঠান্ডা হলে প্রতি ২ ঘন্টায় ১ গ্লাস করে পানি পান করুন। এই ভাবে দিনে ১২ গ্লাস পানিশরীরের জন্য বেশ উপকারি বিশেষ করে কিডনি, ডায়াবেটিস ও মূত্রনালীতে ইনফেকশন আছে এমন রোগীদের জন্য। তবে,

সাধারণ লোকদের জন্যপরামর্শ হলো, দৈনিক ৪ গ্লাস বা ১ লি. সবুজ চা ।তাই দেরী কেন, বেশি করে সবুজ চা পান করুন স্বাস্হ্য ভালো রাখুন!

🔹উপকরণ: পানি পরিমান্মত, এলাচি- খোসা ৪টা, পুদিনা পাতা ২টা, আদাকুচি ১ টেবিল-চামচ, মৌরি ১ চা-চামচ,দারচিনির গুঁড়া ১ চা-চামচ। জিরা ১ চা চামচ, গ্রীন চা-পাতা ৩-৫ চা-চামচ। মধু ও লেবুর রস। প্রণালী: বড় পাত্রে ওপরের সব উপকরণ (চা-পাতা ছাড়া) একসঙ্গে মিলিয়ে চুলায় দিয়ে ২-৩টা বলক তুলে নিতে হবে। এখন চা-পাতা দিয়ে নেড়ে আবার ২-৩টা বলক তুলে চুলা বন্ধ করে ঢেকে রাখতে হবে। পাঁচ মিনিট পর ছেঁকে গরম গরম পরিবেশন।

১৫. গ্রীন টি ইমিউন সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করে৷ তবে এই চা নিয়মিত পান করতে হবে৷ গ্রিন টির উপকারিতা অনেক, গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ক্যাফেইন ও মেঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন মিনারেল যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন ৷

১৬. এনজিওটেনসিন নামক যে উপাদানটি হাই প্রেশারের জন্য দায়ী, গ্রীন টি তা নিয়ন্ত্রন করে প্রেশার নিয়ন্ত্রনে রাখে।

১৭. গ্রীন টি মেটাবলিসম বাড়িয়ে ফ্যাট বার্নে সহায়তা করা। অর্থাৎ ওজন কমায়। একদিনে গ্রীন টি ৭০ ক্যালরি বার্নে সহায়তা করে যা প্রায় ২০ মিনিট হাটার সমান ক্যালরি।

১৮. গ্রীন টি ফ্যাট সেল গুলোতে গ্লুকোস ঢোকা বন্ধ করে দেয়। সুতরাং কারো যদি খাদ্যাভাস ও লাইফস্টাইল হেলদি হয় ও নিয়মিত গ্রীন টি গ্রহণ করে, তবে মেদ বৃদ্ধি হবেনা।

১৯. গ্রীন টি মেটাবলিসম বাড়িয়ে রক্তে আকস্মিক গ্লুকোস বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রন করে। এর ফলে ডায়বেটিস রোগীদের অবস্থার উন্নতি ঘটে।

২০. গ্রীন টির একটি এমাইনো এসিড স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এ ভূমিকা রাখে।

২১. এটি লিভার ফেইলিওর এর রোগীর লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন এর পরের জটিলতা রোধ করে। তাছাড়া ফ্রি র্যা ডিকেল ধ্বংস করে ফ্যাটি লিভার এর রোগীর লিভারের উন্নতি ঘটায়।

২২. গ্রীন টি তে থাকে ক্যাটেচিন ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী ব্যকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং এই ব্যাকটেরিয়া হতে জাত টক্সিন কে নষ্ট করে দেয়।

২৩. গ্রীন টি rheumatoid arthritis এর চিকিতসায় ব্যবহৃত হয়। এটি জয়েন্ট এর cartilage ক্ষয়কারী এনজাইম কে রোধ করে জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করে।

২৪. গ্রীন টি multiple sclerosis এর চিকিতসায় ব্যবহৃত হয়।

২৫. গ্রীন টির পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সাধারণ ভাইরাল ও ব্যকটেরিয়াল ডিজিজ গুলো প্রতিরোধ করে।

২৬. গ্রীন টির ভিটামিন সি সর্দি কাশি প্রতিরোধ করে।

২৭. গ্রীন টির epigallocatechin-3-gallate (EGCG) এলার্জি নিরাময়ে সহায়তা করে।

২৮. গ্রীন টির থিওফাইলিন শ্বাসতন্ত্রের মাসল কে রিল্যাক্স করে এজমার অবস্থার উন্নতি ঘটায়।

২৯. প্রাচীন চীনে কানের ইনফেকশন এর চিকিতসায় গ্রীন টি দিয়ে তুলো ভিজিয়ে কান পরিষ্কার করা হতো।

৩০. হার্পিস এর চিকিতসায় যে ক্রীম (ইন্টারফেরন) ব্যবহৃত হয়, গ্রীন টি তার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর জন্য আগে স্থানটি গ্রীন টি দিয়ে ধুয়ে এরপর ক্রীম লাগাতে হবে।

৩১. জাপানের একটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে গ্রীন টির epigallocatechin-3-gallate (EGCG), সুস্থ্য কোষের সঙ্গে HIV এর সংযোজন ব্যহত করে। ফলে AIDS এর মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়।

৩২. এছাড়াও গ্রীন টি এনার্জি ও স্ট্যামিনা বাড়ায়

৩৩. হজমে সহায়তা করে

৩৪. পানিশূন্যতা রোধ করে

৩৫. নিয়মিত গ্রহণে ব্রন প্রতিরোধ করে

৩৬. রক্ত জমাট বেধে স্ট্রোক হওয়াকে রোধ করে

৩৭. এতে থাকা কিছু ভিটামিন ক্ষতস্থানের অস্বাভাবিক রক্তজমাট বাধা কে প্রতিরোধ করে

রূপচর্চা ও স্বাস্থ্যরক্ষায় গ্রীন টি

গ্রীন টি’র সাথে আমরা সবাই মোটামুটি পরিচিত। তবে একে অন্য সব সাধারণ পানীয়ের কাতারে ফেললে আপনি ভুল করবেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত গ্রীন টি পান বার্ধক্যের ছাপকে ঘুচিয়ে ত্বকের জৌলুস ফিরিয়ে আনে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। এছাড়াও গ্রীন টি তে রয়েছে আরো অসংখ্য গুনাগুণ। এমনকি গ্রীন টি তে থাকা এই উপকারী গুণ গুলোর জন্য এখন বিখ্যাত বিউটি ব্র্যান্ড গুলো তাদের পণ্যে গ্রীন টির উপাদান সংযোজন করছে।

তাহলে আসুন এখন জেনে নেয়া যাক গ্রীন টির উপকারিতা সম্বন্ধেঃ

০১. বর্তমানে গ্রীন টি এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এর ওজন কমানোর গুণের কারণে। এটি অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এটি এক দিনে ৭০ কালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে। তার মানে রেগুলার গ্রীন টি পানের মাধ্যমে বছরে ৭ পাওন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্বব।

০২. গ্রীন টি খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে।

- টোনার তৈরির জন্য ১ কাপ পানিতে ৫ চা চমচ গ্রীন টি, ১ চা চমচ পুদিনা পাতা ১০ মিনিট ফুটান। তারপর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করূন। এই টোনার টি দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করূন। এটি ত্বকের চুলকানি ও প্রদাহ দূর করতে খুব উপকারী।

০৩. গ্রীন টি তে রয়েছে এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে এবং আয়ু বাড়ায়।

০৪. চোখের ফোলা ভাব এবং চোখের নীচের ডার্ক সার্কেল কমাতে ব্যবহার করা গ্রীন টি এর দুটি ব্যাগ ২ ঘন্টা ফ্রীজ এ রেখে, ঠান্ডা করে চোখ বন্ধ করে এর উপর ১০ মিনিট রাখুন।

০৫. ড্রাই গ্রীন টির পাতা মধুর সাথে মিক্স করে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায় যা লোমকুপের ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করে ত্বক কে নরম ও মসৃণ করে।

০৬. ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রীন টি ডিওডোরেন্ট হিসেবে ভালো কাজ করে। গোসলের পর ঠান্ডা গ্রীন টি আন্ডারআর্ম এ লাগালে দুর্গন্ধ দূর হবে। ঠিক এমনিভাবে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

০৭. অর্ধেক কলা, ১ চা চমচ গ্রীন টি , ১ চা চমচ মধু এবং ১ চা চমচ টক দই ভালো মতো মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভালো ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক হিসেবে কাজ করে।

০৮.নিয়মিত এক কাপ গ্রীন টি পান হার্ট এর রোগের ঝুকি ৪৪% কমিয়ে দেয় এবং ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

০৯. মশা মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচতে শুকনো চা পাতা ঘরের কোনায় রেখে পোড়ালে মশা মাছি কমবে।

১০. নিয়মিত গ্রীন টি পান মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এটি ওরাল ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে ডেন্টাল ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে।

১১. গ্রীন টি চুলের জন্য খুব উপকারী। ৩-৪ টি গ্রীন টি ব্যাগ ১ লিটার পানিতে এক ঘণ্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর চুল শ্যাম্পূ এবং কন্ডিশন করার পর সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলকে শক্ত ও মজবুত করে। চুল পড়া কমাতেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন গ্রীন টি। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং হেয়ার ফলিকল উদ্দীপিত করে যা নতুন চুল গজাতে সহায়ক।

১২. ফ্রীজ় এর দুর্গন্ধ দূর করতে ড্রাই গ্রীন টি একটি পাতলা কাপড়ে বেঁধে ফ্রীজ় এর এক কোনায় রেখে দিন। ফ্রীজ় এর দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

১৩. মেডিকেল গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গ্রীন টি ব্রণের সমস্যা ট্রিটমেন্টের জন্য খুবই কার্যকরী। এটি ত্বকে কোন রকম ইরিটেশন বা ড্রাইনেস তৈরী করা ছাড়াই ব্রণ নির্মূল করে।

১৪. গ্রীন টি মাউথওয়াশ হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। এতে আছে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রপার্টিস এবং কোনো এলকোহল নেই যা রেগুলার মাউথওয়াশে থাকতে পারে।

১৫. চা পাতা পানিতে কয়েকদিন ভিজিয়ে রেখে তারপর ছেঁকে গাছের গোড়ায় সেই পানি দিলে তা ফারটিলাইজার হিসেবে কাজ করে।

গ্রিন টি পানের অপকারিতা

অতিরীক্ত গ্রন টি পানের ফলে কিডনি ও লিভার এ মারাক্ত প্রভাব পড়তে পারে এমন কি বিকল ও হতে পারে। এছাড়াও শরীরের প্রয়োজনিয় লবন পটাশিয়াম ও অন্যান্য মিনারেল এর অভাব দেখা দিতে পারে। তাই দিনে সবোর্চ্চ ৩ -৪ কাপ চা পান করা যাবে।

আশা করি পোস্টটি দ্বারা আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।

জ্ঞান বৃদ্ধি

[edit]

নিজে জানি ও অন্য কে জানাই Sharminkhan0 (talk) 13:09, 4 September 2020 (UTC)[reply]

Sharminkhan0, you are invited to the Teahouse!

[edit]
Teahouse logo

Hi Sharminkhan0! Thanks for contributing to Wikipedia.
Be our guest at the Teahouse! The Teahouse is a friendly space where new editors can ask questions about contributing to Wikipedia and get help from experienced editors like GreenMeansGo (talk).

We hope to see you there!

Delivered by HostBot on behalf of the Teahouse hosts

16:03, 4 September 2020 (UTC)


সরিষার তেল

[edit]

সরিষার তেল কি?

সরিষার দানা থেকে প্রক্রিয়া জাত বা মেশিনে বা কাঠের ঘানিতে ভেঙে সরিষার তেল উৎপাদন বা তৈরি করা হয়।

◽বই এর ভাষায় "সরিষার তেল শব্দটি দুটি সরিষার বীজ থেকে তৈরি তেলগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়: একটি চর্বিযুক্ত উদ্ভিজ্জ তেল বীজ টিপানোর ফলে, বীজ পিষে, জলের সাথে মিশ্রিত করে এবং পাতন দ্বারা ফলাফলের উদ্বায়ী তেল আহরণ করে।"

☑ প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণে

১০০ গ্রাম ক্যালোরি ৮৮৪ % দৈনিক মূল্য* মোট ফ্যাট ১০০ গ্রাম ১৫৩% স্যাচুরেটেড ফ্যাট ১২ গ্রাম ৬০% পলিউনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ২১ গ্রাম মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ৫৯ গ্রাম সোডিয়াম 0 মিলিগ্রাম 0% মোট কার্বোহাইড্রেট 0 গ্রাম 0% ডায়েটারি ফাইবার 0 গ্রাম 0% প্রোটিন 0 গ্রাম 0% ভিটামিন এ 0% ভিটামিন সি 0% ক্যালসিয়াম 0% আয়রন 0% ভিটামিন বি -6 0% কোবালামিন 0% ম্যাগনেসিয়াম 0% ◼ শতকরা দৈনিক মান 2,000 ক্যালোরি ডায়েটের উপর ভিত্তি করে। আপনার ক্যালরির প্রয়োজন অনুসারে আপনার দৈনন্দিন মানগুলি বেশি বা কম হতে পারে।

◼আমাদের দেশে কয়েক রকমের সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ⬇

🔹দেশী ছোট দানার সরিষাঃ এই সরিষা টিতে ঝাঁঝ সবচেয়ে বেশি। খোসা হয় পাতলা এবং এটা থেকে পরিমাণে বেশী তেল পাওয়া যায়।

🔹সাদা সরিষা বা রাই সরিষাঃ এই সরিষার রং হয় হলদে রং এর। এই সরিষার তেল হবে দেখতে মধুর মত আর ঝাঁঝ হরে নরমাল।। এই তেলটির দাম সবচেয়ে বেশি।

🔹হাইব্রিড সরিষাঃ এই সারিষার দানা হবে মোটা ও খোসা হবে পুরু। এর ঝাঁঝ কম ও এর থেকে তেল ও পাওয়া যায় কম। এই সরিষা তেলে তৈরীর চেয়ে মসলা হিসাবে বেশি ব্যবহৃত হয়।

সরিষার তেল আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গেই যেন মিশে আছে একাকার হয়ে । একসময় গ্রামবাংলার একমাত্র ভোজ্য তেল ছিল সরিষার তেল। এর ওষুধি গুণাগুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই তেল।

সরিষার তেল যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারীও বটে। ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে সরিষার ব্যবহার হয়ে আসছে।

সরিষার তেল উদ্দীপক হিসেবে পরিচিত। অন্ত্রে পাচকরস উৎপাদনে সাহায্য করায় হজমপ্রক্রিয়া খুব দ্রুত হয় ও ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকপ। সর্বজনীনভাবে সরিষার তেলের ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছিলো। তবে আজকাল দেশী পণ্যার চাহিদা বসড়ায় ও মানুষ ডায়েট ও স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ায় আবারও সরিষা তেলের চহিদা ব্যাপক ও দূত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে যাঁরা অবগত আছেন, তাঁরা নিয়মিতই ব্যবহার করে চলেছেন সরিষার তেল।

সবাই জানি সরিষাবীজ থেকে তৈরি হয় সরিষার তেল এটি গাঢ় হলুদ বর্ণের এবং বাদামের মতো সামান্য কটু স্বাদ ও শক্তিশালী সুবাসযুক্ত তেল। ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়।

বিভিন্ন ভোজ্য তেলের ওপর করা একটি তুলনামূলক সমীক্ষায় দেখা যায়, সরিষার তেল ৭০ শতাংশ হৃৎপিণ্ড–সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়, যা হৃদ্​রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।

এ ছাড়া সরিষা তেল ঠান্ডা ও কাশি উপশমে সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে। যখন বুকে প্রয়োগ বা তার দৃঢ় সুবাস নিশ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া হয়, এটা শ্বাসযন্ত্রের নালির থেকে কফ অপসারণেও সাহায্য করে। শুধু খাওয়ার জন্যই নয়, সরিষার তেল চুল ও ত্বকের যত্নেও কাজে লাগে।

সরিষার তেল আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গেই যেন মিশে আছে। সরিষার তেল এই নামেতেই অন্য রকম এক ভালোবাসার ঝাঁঝ লক্ষ্য করা যায়। আর এই ঝাঝ আমাদেরকে এক অন্য রকম মায়ায় আটকে রাখে আমাদের রান্নাঘরের প্রতিটি কাজে। ভর্তা থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, বিরিয়ানি পর্যন্ত রান্না হয় সরিষার তপলে আর আচার ও ঝালমুড়ি তৈরিতে তো সরিষার তেল ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। ।

সরিষার তেলে রয়েছে ১৯২৭ ক্যালরি। এক কাপ তেলে চর্বি থাকে ২১৮ গ্রাম। এর গুণ যেমন রান্নার ক্ষেত্রে রয়েছে, তেমনি প্রতিদিনের অনেক ছোটখাটো সমস্যায় এর প্রয়োগ আছে। জেনে নিন সরিষার তেলের অপরিহার্য গুণ।

সরিষার তেলের উপকারিতা

🔸ত্বকের তামাটে ভাব দূর করেঃ সরিষার তেল ত্বকের তামাটে ভাব ও দাগ দূর করে এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে পারে। এ জন্য বেসন, দই, সরিষার তেল ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।

🔸প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনঃ সরিষার তেল খুব ঘন হয় এবং এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই থাকে। এই তেল ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। তাই এটি ত্বকের ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে। ভিটামিন ই বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতেও সাহায্য করে। তাই সানস্ক্রিন লোশনের মতোই ব্যবহার করতে পারেন এই সরিষার তেল। তবে এই তেল যেহেতু ঘন, তাই ত্বকে লাগানোর পর ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে, যেন অতিরিক্ত তেল লেগে না থাকে। অন্যথায় অতিরিক্ত ধুলাবালু জমা হয়ে ত্বকের ভালোর চেয়ে খারাপই হতে পারে বেশি।

🔸চুলের বৃদ্ধিতে সহায়কঃ সরিষার তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অকালে চুল সাদা হওয়া রোধ করে ও চুল পড়া কমায়। সরিষার তেলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে এতে। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন-এতে রূপান্তরিত হয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রতি রাতে চুলে সরিষার তেল মালিশ করে লাগালে চুল কালো হয়।

🔸ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করেঃসরিষার তেলে আছে প্রয়োজনীয় অনেক উপাদান, যা আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এর মধ্যে আছে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ওমেগা, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পরিমাণমতো ভিটামিন এ। ফলে বুঝতেই পারছেন, সরিষার তেল ত্বক ভালো রাখার জন্য কতটা দরকারি।

🔸উদ্দীপক হিসেবে কাজ করেঃ সরিষার তেল পরিপাক, রক্ত সংবহন ও রেচনতন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া খাওয়ার পাশাপাশি বাহ্যিকভাবে শরীরে মালিশ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন এবং ঘর্মগ্রন্থি উদ্দীপিত হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা কমে।

🔸ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়ঃ সরিষার তেলে গ্লুকোসিনোলেট নামক উপাদান থাকে, যা অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। তাই এটি ক্যানসারজনিত টিউমারের গঠন প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যানসার থেকে সুরক্ষাও প্রদান করে।

🔸চুল পাকা রোধ করতেঃ সরিষা তেলের পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, মিনারেল চুলের অকালপক্বতা রোধ করে থাকে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই তেল মালিশ করুন চুল এবং মাথার তালুতে যা আপনার চুল পাকা রোধ করবে।

🔸ঠোঁটফাটা রোধ করেঃ ঠোঁট ফাটা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকের এই সমস্যা এত বেশি হয়ে থাকে যে লিপবাম কাজ করে না। অল্প একটু সরিষার তেল নিয়ে ঠোঁটে লাগান। এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ঠোঁটফাটা রোধ করে ঠোঁট নরম কোমল করে তোলে। শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে সরিষার তেল ভালো কাজ করে। লিপবাম বা চ্যাপস্টিক—এগুলোর পরিবর্তে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

🔸কার্ডিওভাসকুলার উপকারিতাঃ সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ বলে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে।

🔸নতুন চুল গজাতে সাহায্য করেঃ সরিষা তেলে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে। এটি নিয়মিত মাথার তালুতে মালিশ করার ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এই তেল আয়রন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের উৎস, যা চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

🔸ব্রন ও ত্বকের উজ্জ্বলতায়কাজ করেঃ ত্বকের ব্রণ হোক বা ট্যান পড়া, সব ক্ষেত্রেই সরিষার তেল কাজে দেবে। অল্প পরিমাণে সরিষার তেল হাতে নিয়ে ভালো করে মালিশ করুন আপনার ট্যান পড়া জায়গায়। তারপর তুলা পানিতে ভিজিয়ে আস্তে আস্তে মুছে নিন। কিছুদিনের মধ্যেই চোখে পড়ার মতো উপকার দেখতে পাবেন।

🔸আর্থ্রাইটিস রোগের উপশমে কাজ করেঃ আর্থ্রাইটিস রোগে ভুগছেন। ব্যথায় অনেকেই জর্জরিত। পেইনকিলার নিয়ে দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন। এর থেকে নিরাময়ের জন্য একবার অতি পরিচিত এই তেলের ওপর বিশ্বাস করে দেখতে পারেন। সরিষার তেল আর আদা—এই দুটিতেই এমন উপাদান থাকে, যা প্রদাহজনিত উৎসেচকের ক্রিয়ার গতি কমিয়ে তোলে। ফলে ব্যথার থেকে আরাম পাওয়া যায়। জয়েন্টের ব্যথার হাত থেকে নিরাময় পেতে সরিষার তেলে পরিমাণমতো কর্পূর মেশান। তেল গরম করে ঠান্ডা হতে দিন। এবার সেই তেল দিয়ে মালিশ করুন। আরাম পাবেন।

🔸ত্বকের জেল্লা বাড়াতেঃঅনেকে মুখের কালো দাগ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। ব্রণ কমে গেলেও দাগ থেকে যায় কারও কারও। এসবেরও সহজ সমাধান আছে। দুই চামচ সরিষার তেল নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ নারকেল তেল মেশান। এর মধ্যে এক চামচ লেবুর রস আর দুই চামচ টক দই দিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে মুখে মাখুন। মিনিট দশেক পর ধুয়ে ফেলুন। শুধু দাগ যাবে না, সঙ্গে মুখের জেল্লা বাড়বে।

🔸ক্ষুদা বাড়াতে সাহায্য করেঃ ক্ষুধার ওপর সুস্বাস্থ্য অনেকটা নির্ভর করে। পাকস্থলীর পাচক রস উদ্দীপিত করার মাধ্যমে ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সরিষার তেল। যাঁদের ক্ষুধার সমস্যা আছে, তাঁরা রান্নায় সরিষায় তেল ব্যবহার করতে পারেন।

🔸ঠান্ডা দূর করতেঃ ছোটখাটো ঠান্ডা আমাদের সবারই লাগে। তার জন্য আমরা কেউ ডাক্তারের কাছে যাই না। সরিষার তেল ঠান্ডা লাগার কষ্ট থেকে বাঁচায়। দুই হাতে তেল নিয়ে ভালো করে বুকে মালিশ করুন। আরাম তো পাবেন, সঙ্গে বুকের জমা কফ বেরোতে বা কমতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে বন্ধ নাক খোলার জন্য এক বাটি পানিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল ফেলুন। এবার পানি একটু গরম করে ভাপ নিন। দেখবেন বন্ধ নাক খুলে গেছে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বুকে বা পায়ের তলায় সরিষার তেল দিয়ে এই মালিশ খুবই কার্যকর।

🔸মাড়ির বিভিন্ন রোগ দূর করতে লবণ ও সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়।

🔸সরিষার তেল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদানসমৃদ্ধ। ত্বকের ওপর এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দূর হয়। এরা ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি রোধ করে।

🔸পোকামাকড় সরিষার তেল সহ্য করতে পারে না। এই তেল ব্যবহার করে পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

🔸যাঁদের হার্টের সমস্যা আছে, তাঁদের আজকাল ডাক্তাররা তেল খেতে বারণ করেন। অনেকে বিকল্প হিসেবে নারকেল, সয়াবিন বা জলপাই তেল দিয়ে রান্না করেন। তবে পরিমিত পরিমাণে খেলে সরিষার তেল এগুলো থেকে অনেকটাই ভালো। এতে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ফলে আপনার কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে তোলে।

🔸সরিষার তেল দিয়ে শুধু ত্বকই নয়- হৃৎপি-, পেশি, গাঁটের সমস্যা পর্যন্ত দূর করা যায়। সরিষার তেল ভেষজ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটি ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং সহজেই হজমকারক।

🔸সরিষার তেল শুধু আমাদের কোলেস্টেরল কমায় না, সঙ্গে লোহিত রক্তকণিকার গঠনে ভূমিকা রাখে।

🔸সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শ্বাসনালি এবং মূত্রনালি ও ব্রঙ্কাইটিস ইনফেকশন সারাতে সরিষার তেল বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ তেলে রোগের জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা রয়েছে। এর উপাদান শরীর ক্ষুদ্রান্ত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং ফুসফুস ও বৃহদান্ত্রের প্রয়োজনীয় জীবাণুকে কোনোরকম ক্ষতি না করেই কিডনির মাধ্যমে তা নিষ্কাশিত করে দেয়। এই তেল বৃহদান্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও হজমে সহায়তা করে। তবে এ ক্ষেত্রে কি রকম তেল ব্যবহার করতে হবে- সেটা না জানলে ফলাফল খারাপ হতে পারে। লক্ষ্য রাখার বিষয় হলো, শরীরের জন্য নামি-দামি ব্যান্ডের সরিষার তেল কিন্তু মোটেও উপকারী নয়। আসলে প্রয়োজন খাঁটি সরিষার তেল। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যান্ডেড তেল নয়, খাঁটি সরিষা থেকে ঘানিতে তৈরি করা তেল ব্যবহার করতে হবে।

◾রান্নায় সরিষা তেলের ব্যবহার

সরিষার তেল সাধারণত আমরা বিভিন্ন ধরনের ভর্তা তৈরিতে, আচার, ও সর্দি-কাশি ভালো করতে গায়ে মেখে থাকি। আর বর্তমানে বিরিয়ানি রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে গেছে। তাছাড়া ইলিশ মানেই সরিষার তেল সেই টা তো সবাই জানি। তবে আমরা অনেকেই জানি না যে, রান্না ও চিকিৎসায় সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। এ তেলের সুগন্ধ রান্নার স্বাদ বাড়ায়।

🔹এ ছাড়া সরিষার তেল স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরের নানা উপকার করে। আয়ুর্বেদ চিকিসকেরা বলে থাকেন, রান্নায় নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

আসুন এবার জেনে নেই রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহারে যে সব রোগের ঝুঁকি কমায় -

🔹 হৃদরোগজনিত জটিলতায় কারণে বিশ্বে প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

🔹 গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে থাকা ওমেগা থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

🔹ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়ঃ সরিষার তেলে গ্লুকোসিনোলেট নামক উপাদান থাকে, যা অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। তাই এটি ক্যানসারজনিত টিউমারের গঠন প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যানসার থেকে সুরক্ষাও প্রদান করে।

🔹কার্ডিওভাসকুলার উপকারিতাঃ সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ বলে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে।


সতর্কতা

সরিষা তেল ব্যবহারের আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে জেনে নিতে হবে যে আপনার সরিষার তেল খাঁটি কি না? নকল বা ভেজাল সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় সরিষার তেল কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু যেকোনো সরিষার তেল কি আমাদের জন্য উপকার বয়ে আনবে? মোটেও তা নয়। দোকানের খোলা সরিষার তেলে ভেজাল মিশ্রিত থাকে, যা ব্যবহার করলে নানা রকম অসুখ–বিসুখ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই খাঁটি সরিষার কেনার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। Sharminkhan0 (talk) 20:11, 14 September 2020 (UTC)[reply]