Jump to content

User talk:Sayer Tanvir Ahmed

Page contents not supported in other languages.
From Wikipedia, the free encyclopedia

মোড়াকরি গ্রামের নামকরণ ও ইতিহাস :

মোড়াকরি গ্রাম, যার ইতিহাস প্রাচীন যুগের গভীরে প্রোথিত, প্রায় আট থেকে নয় শত বছর পূর্বে একটি ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল বর্তমানে পরিচিত গ্রাম মোড়াকরি। বলা হয় রঘোনন্দন নামক পাহাড় থেকেই তার উৎপত্তি।এক সময় এখানে ছিলো জনমানবশূন্য বিশাল প্রাকৃতীক জঙ্গল।এই জঙ্গল ছিল জীববৈচিত্র্যের এক অপূর্ব প্রকৃতিতে অভয়ারণ্য, যেখানে নানা প্রজাতির পশুপাখি অবাধে বিচরণ করত। বিশেষ করে হাতি ছিলো এই জঙ্গলের উল্লেখযোগ্য প্রাণী।কথিত আছে এই গ্রামের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বর্তমান বলভদ্র নামে পরিচিত নদীর তীরে বিশাল কলা বাগান ছিলো তখন। হাতিরা কলাগাছ খাওয়ার জন্য নদী পেরিয়ে ওপারে যেতো,তখন শিকারীগণ সেখানে হাতি ধরার জন্য ফাঁদ তৈরি করে রাখতো। যেন হাতিগুলো যখন সেখানে যাবে আর যেন নদী পেরিয়ে এপারে না আসতে পারে। প্রায় হাতিগুলোই নাকি ফাঁদ পেরিয়ে ফিরে আসতো বলা হয়। এবং নদীর ওপারের জনগণ প্রায়ই এই জঙ্গলে হাতি শিকারে বের হতেন। এবং এই জঙ্গল থেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন কাঠ, লাড়কি, বনের বিভিন্ন খাদ্য, উদ্ভিদ, শিকার।

যুগের প্রভাবে, মানুষ আস্তে আস্তে এই জঙ্গল কেটে বসবাস শুরু করতে থাকে। কৃষকেরা তাদের জীবনধারণের জন্য জঙ্গল পরিষ্কার করে ধীরে ধীরে চাষাবাদ করতে লাগলেন। তৎকালীন সমাজে কৃষিকাজের গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম। এভাবে দিনে দিমে গ্রামটি ধীরে ধীরে বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।


লিখক পরিচিতি: শায়ের তানভীর আহমেদ, ২০০৪ সালের ৩০ই নভেম্বর, হবিগঞ্জ জেলার, লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালীন সময়ে তার বিভিন্ন বই পড়ার জগতে প্রথম পা রাখা। এভাবেই সে একজন বই প্রেমি হয়ে উঠে এবং আস্তে আস্তে কবিতা ও গল্প উপন্যাস লিখতে শুরু করেন।শিক্ষা গ্রহণে:দাখিল শেষ করেন ফান্দাউক মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা থেকে। এখন সে ব্রাম্মণবাড়ীয়া একটি আলিম মাদ্রাসা থেকে আলিম পরিক্ষা দিয়েছে।


একটি প্রচলিত জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক কৃষক যখন তার জমিতে কাজ করছিলেন, তখন তিনি হঠাৎ একটি হাতির মাথা আবিষ্কার করেন। এই অভূতপূর্ব আবিষ্কারের ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। হাতির মাথা খুঁজে পাওয়ার পর থেকেই গ্রামটির নামকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ‘মোরা’ অর্থ মাথা এবং ‘করি’ অর্থ হাতি—এই দুই শব্দের সংমিশ্রণে উৎপন্ন হয় ‘মোড়াকরি’।

এইভাবে, মোড়াকরি নামটি শুধু একটি গ্রামের পরিচয় নয়, বরং এর ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সময়ের সাথে সাথে, এই গ্রামটি শুধুমাত্র কৃষিকাজের ক্ষেত্রেই উন্নতি করেনি, বরং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য এক অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে।

আজকের মোড়াকরি গ্রাম একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সমাজ, যেখানে প্রাচীন সেই হাতির মাথার কাহিনী আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে, স্মরণ করিয়ে দেয় ইতিহাসের গতি ও মানুষের সংগ্রামের চিত্র।

অনন্য প্রত্রিকা এবং বইয়ে ভিন্ন মতামত ও পাওয়া যায়। সে বিষয়ে সংকলন তথ্যসহ উপস্থাপন করা হলো গ্রামের অবস্থান সহ :

৩। মোড়াকড়ি পরগনাঃ

মোড়াকরি পরগণাটি লাখাই পরগণা থেকে খারিজ করে সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন সূত্রে মুড়াকৈড় নামে লিপিবদ্ধ হয়েছে। ভেড়ামোহনা নদীর উভয় তীরে এর বিস্তৃতি ছিল বলে কোনো কোনো সূত্রে জানা যায়। এটি বাজুকার অংশ হিসেবে দীর্ঘ সময় ময়মনসিংহের সাথে যুক্ত ছিল।

১৮৬৮ সালে সিলেটের সাথে অন্তর্ভুক্ত হয়। বাজুকার চৌধুরী বংশ মুড়াকড়ি পরগণার জমিদার ছিলেন। এ পরগণাও অজ্ঞাত কারণে ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে নবীগঞ্জ রাজস্ব জিলার সাথে সংযুক্ত ছিল।

মাধবপুর থানার জগদীশপুর গ্রামের দত্ত চৌধুরী বংশের শ্যামরায় দত্ত চৌধুরীর দুই ছেলে ছিলেন উদয় রায় দত্ত চৌধুরী ও মদন রায় দত্ত চৌধুরী। জ্যেষ্ঠ উদয়রায় দত্ত চৌধুরী ‘মর্কররায় দত্ত চৌধুরী" নামে খ্যাত ছিলেন। মর্কর নাম থেকেই মুড়াকড়ি পরগণার উৎপত্তি।

উদয় ও মদন দুই ভাই হিংস্র জন্তু-জানোয়ার পূর্ণ জঙ্গলাবৃত এ স্থানটি আবাদ করেন। সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। তাদের দেখাদেখি ক্রমান্বয়ে আরো অনেক লোক সেখানে এসে বসবাস শুরু করলে এক সময় একটি গ্রামের সৃষ্টি হয়। সেই থেকে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ‘মর্কর দত্ত চৌধুরী’ নামানুসারে গ্রামটি ‘মরকর’ এবং তা থেকে ‘মুড়াকৈড়’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আজও মানুষ গ্রামটিকে মুড়াকৈড় নামে ডাকলেও ‘মুড়াকড়ি’ হিসেবেই লিখিত হয়।

মোড়াকরি পরগনার নামোৎপত্তি সুতারাং বহুদিনের কথা নয়। এই ভাতৃদ্বয়ের বংশধরগন মুড়াকরিবাসী ছিলেন। মোড়াকরি গ্রামে "দত্ত চৌধুরী" বংশীয় লোকেরা হলেন এই গ্রামের আদি বাসিন্দা।

মুড়াকরি গ্রামে একটি বাক্য প্রবাদ আছে। মধু- গৌড় - নিতাই, এ ছাড়া কেউ নাই। এই পরগনায় মধু গৌড় নিতাই নামে তিন ব্যক্তি বিখ্যাত ছিলেন।
মধুদাস চৌধুরী বংশীয় মোড়াকরিতে এ বংশের অনেক কীর্ত্তি আছে। গোবিন্দ ও গোপালজীর আখড়া এবং বালি চরের কালী প্রধান।এই কালী ১৪ হাত উচু।

নবীগঞ্জ রাজস্ব জিলাধীন মুড়াকড়ি পরগণায় হালাবাদি জরিপানুযায়ী গ্রাম সংখ্যা ছিল ৮টি; মোট ভূমি ১,৪৭৯ একর; তালুক সংখ্যা ৪টি এবং রাজস্ব ছিল ৪৩৯ টাকা। মোড়াকরি পরগনার অধীনে মুড়িয়াউক,তেঘরিয়া অন্তভুক্ত ছিল।

বর্তমানে লাখাই থানার ২ নং মোড়াকরি ইউনিয়ন।

লিখক : শায়ের তানভীর আহমেদ

  1. মোড়াকরির_উৎপত্তি #গ্রামের_নাম_মোড়াকরি #মোড়াকরি_গ্রামের_ইতিহাস #মোড়াকরি

কবিতা

[edit]

ইসলামিক, সমাজিক, প্রতিবাদী, বিদ্রোহী,প্রেমময়ী,বিজ্ঞান ইত্যাদি Sayer Tanvir Ahmed (talk) 05:19, 25 September 2024 (UTC)[reply]