Jump to content

User:Ritachalak

From Wikipedia, the free encyclopedia

কনক দুর্গা মন্দির

[edit]

ভারতেরএকটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির

অবস্থান

কনক দুর্গা মন্দির ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড়ে, ডুলুং নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির।[১]


চিল্কিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সামন্ত এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে, দেবীর নির্দেশ মতো রানির হাতের সোনার কাঁকন দিয়ে রাজা নির্মাণ করান এই মন্দিরের দেবীমূর্তি, নাম হয় ‘কনক দুর্গা’। সেই থেকে মন্দিরটির নাম হয় ‘কনক দুর্গা মন্দির’। ১৯৬০ সালে আসল মূর্তিটি চুরি হয়ে যায়। কিছু বছর পর রাজার বংশধরেরা অষ্টধাতুর একটি কনকদুর্গার মূর্তি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন৷২০০৭-২০০৮ সালে, মাও আমলে, দুবার চুরি যায় মূর্তি। প্রতিবারই নতুন করে তৈরি হয় অষ্টধাতুর মূর্তি। বর্তমান মূর্তিটি দেবীর নবনির্মিত মূর্তি।

নরবলি প্রথা

[edit]

সম্পাদনা লোকমুখে প্রচলিত, ভগ্নপ্রায় যে প্রাচীন মন্দির রয়েছে তার পশ্চিমপ্রান্তের দালানে এক সময় নরবলি হত। নরবলি হত মহানবমীর রাতে। স্থানীয়রা বলেন,দেবীই নাকি রাজাকে আদেশ দিয়েছিলেন, নরবলি দিয়ে সেই রক্তে তাঁকে স্নান করাতে হবে। সেইমতো নবমীর দিনে নাকি এক যুবক হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় হাড়িকাঠে মাথা দেয়। তখন থেকেই নরবলির প্রথা শুরু। এখন নরবলি প্রথা বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়ার পেছনেও একটি কাহিনী শোনা যায়। বলিদানকারী ব্যক্তি নির্বাচনের দায়িত্ব রাজার চার কর্মচারীদের ওপর ছিল। একবার, একটি অল্প বয়স্ক ছেলেকে এই কর্মচারীরা বেছে নিয়ে একটি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দী করে রেখেছিল বলির উদ্দেশ্যে। মহানবমীর দিন, ঐতিহ্য অনুসারে, বালকটিকে বলির জন্য হাড়িকাঠের সামনে আনা হলে, ছেলেটি হঠাৎ জোরে জোরে দেবী দুর্গার স্তুতি জপ করতে শুরু করে। এই স্তুতি শুনে রানী গোবিন্দমণি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং দেবীর কাছে করোজড়ে আবেদন করে বন্ধ করেন এই নরবলি প্রথা। বর্তমানে পাঁঠা বলির প্রচলন আছে।

তথ্যসূত্র

  1. jhargram.gov.in। ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৪।
  2. গোস্বামী, শ্রমণা (১৭ অক্টোবর ২০২৩)। "Durga Pujo History: ৫০০ বছরের পুরনো ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দির, এখানে অষ্টমীর ভোগ নিজেই রাঁধেন দুর্গা!"। Ei Samay। ১ অগাস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অগাস্ট ২০২৪।
  3. সরকার, অনিরুদ্ধ (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩)। "নবমীর রাতে নরবলি হত ঝাড়গ্রামের কনকদুর্গা মন্দিরে!"। আনন্দবাজার পত্রিকা (ইংরেজি ভাষায়)। ১ অগাস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অগাস্ট ২০২৪।