Jump to content

User:Munshi Habibur Rahman

From Wikipedia, the free encyclopedia

ঝিনাইদহ জেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হরিশংকরপুর জে,সি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ।


তৎকালীন যশোহর জেলার অন্তর্গত ঝিনাইদহ মহকুমার সদর থানার হরিশংকরপুর গ্রামটি ছিলো একটি বনেদী হিন্দু অধ্যুষিত বর্ধিষ্ণু জনপদ। প্রখ্যাত বাঙালী গণিতশাস্ত্রবিদ কালী পদ বসুর (কেপি বসু) বাড়ি এই গ্রামে। কেপি বসুর শ্যালক অতুল্য ঘোষ প্রথম কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী এই গ্রামের কৃতি সন্তান। লোকমুখে প্রচলিত ছিলো হরিশংকরপুরের উকিল ছাড়া যশোর জজ কোর্ট অচল।

১৯১৮ সালে এই গ্রামে একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকায় প্রবীণদের মুখ থেকে জানা যায় হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকেই গ্রামে একটি টোল (হিন্দু পাঠশালা) পরিচালিত হয়ে আসছিলো। হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার পিছনের পটভূমি, উদ্যোক্তা ও নামকরণের ইতিহাস সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। যতদূর জানা যায় স্থানীয় জনৈক শিক্ষক বাবু জগৎ চন্দ্র চক্রবর্তীর নামে বিদ্যাপীঠটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন বিদ্যাপীঠের নামকরণ হয় হরিশংকরপুর জগৎ চন্দ্র ইনষ্টিটিউট। বাবু জগৎ চন্দ্র চক্রবর্তীর কোন উত্তরাধিকারী খুজে পাওয়া যায়না। সি.এস রেকর্ডে হরিশংকরপুর মৌজায় ১২৫৮ নং দাগের ১৬৯ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত উল্লেখ আছে। এছাড়া বিদ্যাপীঠ সংলগ্ন আরো প্রায় ৬ একর জমি স্কুলের নামে রেকর্ডভুক্ত আছে। বর্তমানে স্কুলটি হরিশংকরপুর জে.সি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ নামে পরিচিত। যতদুর জানা যায় হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু ধীরেন্দ্র নাথ রায়। এই প্রতিবেদকের পিতার নানাজান একই গ্রামের মৌলভী আব্দস সামাদ মিয়া প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন।

এই স্কুল থেকে প্রথম মুসলমান ছাত্র হিসেবে এন্ট্রান্স পাশ করেন পার্শ্ববর্তী কোদালিয়া গ্রামের কাজী আতোয়ার রহমান ১৯১৯ সালে। তারপর ১৯২২ সালে যুগনী গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন মুন্সী এন্ট্রান্স পাশ করেন। মেট্রিকুলেশন সিস্টেম প্রবর্তনের পূর্বে কোদালিয়ার মুন্সী মশিউল ইসলাম, মুন্সী শামসুল ইসলাম, মোঃ আশরাফুন্নবী, মোঃ ওহেদুন্নবী, কাজী আব্দুল ওহাব, কাজী মফিজুর রহমান কাজী আব্দুল মান্নান যুগনীর মোঃ গোলাম কওছার হরিশংকরপুরের মোঃ ইসহাক বিশ্বাস, মোঃ আকমল হোসেন মিয়া প্রমুখ এন্ট্রান্স পাশ করেন।

অত্র বিদ্যাপীঠে লেখাপড়া করে এলাকার অনেক মানুষ দেশে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে সম্মানজনক পদে ছিলেন ও আছেন।

বর্তমানে বিদ্যাপীঠে ৭৫০ তদূর্ধ ছাত্রছাত্রী সহ ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী ও প্রধান শিক্ষক হিসেবে অত্র বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন ছাত্র আবু আহাম্মেদ বিশ্বাস কর্মরত আছেন। বিদ্যাপীঠের লেখাপড়ার মান যথেষ্ট উন্নত। নবগঙ্গা নদীর উত্তর পাড়ে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।

প্রতিবেদক, মুন্সী হাবিবুর রহমান হরিশংকরপুর হাল সাং মহিলাকলেজপাড়া ঝিনাইদহ।

[1]

[2]

  1. ^ তথ্যসূত্র, আবু আহাম্মেদ বিশ্বাস, প্রধান শিক্ষক, হরিশংকরপুর জে.সি বিদ্যাপীঠ।
  2. ^ মুন্সী শামসুল ইসলাম, কোদালিয়া, সাবেক কর্মকর্তা বি,জি প্রেস।লন