Jump to content

User:Mohammad Jakaria Hossain

From Wikipedia, the free encyclopedia


যেভাবে মোরেলগঞ্জ নাম করণ করা হলো!

[edit]

মোরেলগঞ্জ-এর ইতিহাস:

মোরেলগঞ্জ বাগেরহাট জেলার একটি থানা।

১৭৮৬ খ্রিষ্টাব্দে লর্ড কর্ণওয়ালিসের শাসন আমলে যশোরকে জেলায় পরিণত করা হয়। ১৮৪২ সাল পর্যন্ত খুলনা ছিল যশোর জেলার একটি মহকুমা এবং বাগেরহাট ছিল খুলনা মহকুমার অন্তর্গত একটি থানা।১৮৪৯সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি মি. মোরেলের মৃত্যু হলে স্ত্রী মিসেস মোড়েল তার দুই ছেলে রবার্ট মোরেল ও হেনরী মোরেলকে নিয়ে বসতি গড়েন পানগুছি নদীর পশ্চিম পাড়ে।মোড়েল পরিবার পানগুছি নদীর পূর্বতীরে নারকেল সুপারির বাগান করেন এবং বাজার বসান। ক্রমে তাদের নামানুসারে এ বাজারের নাম হয়ে যায় মোরেলগঞ্জ। পরে ইংরেজ সরকার এ বাজারকে বন্দর হিসেবে ঘোষণা করে।

পরে নদীতে চর পড়ে যাওয়ায় ধিরে ধিরে এ বন্ধর বন্দ হয়ে যায়।নীল, নীলকর নিয়ে এই মোরেল পরিবারের সাথে মিশে আছে অনেক কাহিনী। শাসক রবার্ট মোরেল ছোট ভাই হেনরি ও ম্যানেজার হেইলির সহযোগিতায় স্থানীয় অধিবাসী ও শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন চালাতেন। এ অত্যাচরের খবর শুনে পার্শ্ববর্তী বারইখালী গ্রামের কৃষক নেতা জাহাঙ্গীরের ছেলে রহিমুল্লাহ্ ইংরেজি শেখার ইচ্ছা ত্যাগ করে কোলকাতা থেকে গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামে ফিরে তার আট ভাই ও সঙ্গীদের নিয়ে সুন্দরবন আবাদ করে ১৪শ’ বিঘা জমি চাষের উপযোগী করে তোলেন।

রবার্ট মোরেল এই খবর জানতে পেরে রহিমুল্লাহর কাছে তার আবাদ করা ১৪শ’ বিঘা জমির খাজনা দাবি করেন। এতে রাজি হননি রহিমুল্লাহ। পরে আবারো খাজনা চেয়ে পেয়াদা পাঠালে রহিমুল্লাহ্ এর জবাবে একটি কাঠের বাক্সে মহিলাদের ছেঁড়া জুতা পাঠিয়ে কর প্রদানের দাবি পুনরায় প্রত্যাখ্যান করেন। এভাবে কাজ হবে না ভেবে কূটকৌশলের আশ্রয় নেন রবার্ট মোরেল। রহিমুল্লাহর প্রতিবেশী ও সহযোগী গুনী মামুনকে রহিমুল্লাহ্’র আবাদ করা এক খন্ড জমি পত্তনি দিয়ে দলে ভেড়ান মোড়েল। ওই জমি দখলের নামে ১৮৬১ সালের ২১ নভেম্বর শেষ রাতে রামধন মালোর নেতৃত্বে হেনরি মোরেল ও তার ম্যানেজার হেইলি শতাধিক লাঠিয়াল নিয়ে রহিমুল্লাহ্কে আক্রমন করেন। রহিমুল্লাহ্ও সঙ্গীদের নিয়ে পাল্টা আক্রমন করেন। এতে মোরেল বাহিনীর প্রধান রামধন মালোসহ ৭/৮ জন নিহত হন। হেনরি ও হেইলি ধরা পড়েন রহিমুল্লাহর হাতে। জীবনে এমন কাজ আর করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিলে হেনরি ও হেইলিকে ছেড়ে দেন রহিমুল্লাহ্।এ ঘটনার ৩দিন পরে শক্তিশালী অস্ত্রধারী বাহিনী সংগ্রহ করে ২৫ নভেম্বর রাতে রহিমুল্লাহর বাড়িতে আক্রমণ করে মোড়েল বাহিনী। রহিমুল্লাহ্ তার দুই স্ত্রীর সহায়তায় সারা রাত ধরে দুটি গাঁদা বন্দুকের সাহায্যে লড়াই করেন মোরেল বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভোররাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রহিমুল্লাহ্। এ খবর শুনে রহিমুল্লাহ্’র সহপাঠী তৎকালীন এ এলাকার ম্যাজিস্ট্রেট সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র সরেজমিনে এই ঘটনার তদন্তে আসেন।

খানজাহান আলী দীঘি কখন খনন করা হয়'

১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে হযরত খান জাহান (র:) দীঘি খনন করা হয়। হযরত খানজাহান আলি (র.) (জন্ম ১৩৬৯ - মৃত্যু অক্টোবর ২৫, ১৪৫৯) ছিলেন একজন মুসলিম ধর্ম প্রচারক এবং বাংলাদেশের বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক। তাঁর অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে উলুঘ খান, খান-ই-আজম ইত্যাদি।

হযরত খানজাহান আলি (র.) (জন্ম ১৩৬৯ - মৃত্যু অক্টোবর ২৫, ১৪৫৯) ছিলেন একজন মুসলিম ধর্ম প্রচারক এবং বাংলাদেশের বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক। তাঁর অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে উলুঘ খান, খান-ই-আজম ইত্যাদি।