User:MD Zikrul Haque (Zikrul Sir)/sandbox
MD Zikrul Haque (মোঃ জিকরুল হক (জিকরুল স্যার)) | |
Born | |
Nationality | Bangladeshi |
Education |
|
Occupation | |
Years active | 2016- present |
Organizations | |
Known for | Zikrul Sir - জিকরুল স্যার |
Website |
Biography
[edit]বয়স তখন সবে ৮ বছর হবে প্রায়, ছোটবেলায় তিনি পুকুরে ডুবে গিয়েছিলেন………সাঁতার জানা ছিলো না পাশের বাড়ির এক চাচাতো ভাই যতটুকু শুনেছি রতন টেনে উপরে তুলেছিলো , প্রায় আধঘন্টা পরে জ্ঞান ফিরে ধীরে ধীরে বাড়ি চলে আসেন কিন্তু এই ঘটনা বাসার কারো কাছে বলেন নি। ঘটনাটি প্রায় ১০ বছর পরে বলেছিলেন মা বাবার কাছে। প্রায় ১০ বছর বয়সে একবার কামরাঙ্গার গাছের চূড়ায় উঠে পড়েন কিন্তু খেয়াল করেন নি যে সেখানে (লাল) মৌমাছির বাসা। ব্যস, তারা গুষ্টিসুদ্ধ জিকরুল হকের মাথায় আক্রমণ করে বসলো প্রায় ৫০ টার মতো। পড়ে গেলেন গাছ থেকে টিনের চালায় এরপরে মাটিতে। পড়ে যাওয়ার ব্যাথার কাছে যেনো তাদের হুল ফুটানোর ব্যাথা কিছুই না। জিকরুল হকের মা দৌড়ে এসে কাপড় বস্তা দিয়ে শরীর ঢেকে বাঁচিয়েছিলেন। এরপরের দিনই হুট করেই ওনার মাথাব্যাথা শুরু হয়ে গেলো। পাশের এলাকার বাবু ডাক্তার এর ছোট ভাইয়ের ভুল চিকিৎসায় জিকরুল হককে ভার্গন নামক ইনজেকশন দেওয়া হলে হুট করেই ঘাড় বাঁকা হতে শুরু করে যা ছিলো নিয়ন্ত্রনহীন, গ্রাম্য দাদীরা বলতে লাগলো ছেলেকে জীনে আছর করেছে। সেই অবস্থাতেই জিকরুল হক বলে উঠলো আমাকে কিছুই আছর করে নি কিন্তু আমার ঘাড়টা বেঁকে যাচ্ছিলো। বাবা এদিকে মাঠে কাজে ব্যস্ত ওনার ভ্রুক্ষেপ নেই মহা ব্যস্ত মানুষ কাজ ছাড়া কিছুই বুঝেন না যেনো। অবশেষে শিশু বিশেষজ্ঞ জামান ডাক্তারের কাছে নিলে খানিক পরে সুস্থ হয়ে উঠেন। একবার রাতের অন্ধকারে অন্যায়ভাবে কিছু লোকের মারধরের শিকার হন , রক্তাক্ত হয়ে হসপিটালে ভর্তি ছিলেন যার চিহ্ন মাথায় এখনো আছে কিন্তু সর্বদাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন সবাইকে। একবার ৫০০ টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলেন চাচাতো ভাই আলমের ছিলো টাকাটা, কিন্তু সেটাও গোপন রেখেছিলেন। ছোটবেলায় প্রত্যেকেরই খানিক লোভ কাজ করে তাই হয়তো বলা হয়নি। তারই প্রায়শ্চিত মনে হয় মাইগ্রেন রোগে মহান আল্লাহ ওনার পরীক্ষা নিয়েছেন দীর্ঘদিন মাইগ্রেন এ ভুগেন। তবে বছর দশেক পরে ঠিকই আলমকে জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন এবং সেই টাকাও ফেরত দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন ব্যাপার না কিছু মনে করে নি তারা। সত্যিই কিছু মানুষের মন উদার। নিয়মিত সালাতের পাশাপাশি দু বছর বড় চন্ডিপুর চৈতাপাড়া জামে মসজিদে ইতিকাফ্ ও করেছিলেন তবে বড় হয়ে ব্যস্ততায় আর সময় সুযোগ হয়ে উঠে নি তার। ব্যক্তিগত জীবনে খুব বেশি আবেগপ্রবণ এবং দরদভরা নরম মনের মানুষ এই জিকরুল হক এমনকি অন্যের সামান্য খোটা দেয়া কথায় তার চোখে জল চলে আসে।
""""জিকরুল হক তার জীবনীতে বলেছেন, জীবনে অন্তত কয়েকবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছি। মাঝে মাঝে আফসোস লাগে। যাওয়ার ক্রমিক নেই কিন্তু আসার ক্রমিক ঠিকই রয়েছে দুনিয়ায়। একবার ২০০০ ইটের সারি করা স্তুপ আমার গায়ে পড়েছিলো ভাগ্যিস পাশে টিন ছিলো তবে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মা তো চিৎকার দিয়ে হাতের ভাতের প্লেটখানা ফেলে দিয়ে দৌড় দিয়ে ছুটে এসেছিলো। ছোট দুলাভাই সুমন খানের একটা আঙ্গুলের রক্ত ঝরছিলো। বড় ভাই জাকারিয়া হোসেন জীবন দৌড়ে এসে সেই স্তুপে কোমর পর্যন্ত ঢুকিয়ে দিয়েছিলো। ভিতর থেকে টেনে বের করা হয়েছিলো আমাকে মনে আছে। ছোটবেলায় নানা নানী দাদা দাদী মামা মামি পাই নি। তবে দাদীকে পেয়েছিলাম। প্রতিদিন এক টাকার গ্রাম্য মিষ্টি সিংগাড়া খাওয়াতে ভুল করতেন না। খুবই আদর করতো দাদী। কালক্রমে দাদীর চেহারা আর মনে করতে পারি না শত চেষ্টা করেও। নানা নাকি আমাকে দেখেছিলেন তা মনে নেই আমার। স্কুলে যাওয়ার সময় আমার বোন মারজিয়া আপু আমাকে নিজের হাতে সাজিয়ে দিতো মাথায় চিরুনি করিয়ে দিতো। আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে বোন। একবার তো আমার উপর রাগ করে রাগের মাথায় রান্নাঘরের দরজা ভেঙে ফেলেছিলো তবুও আমার গায়ে হাত দেয় নি। ওর ছেলে জুনায়েদকে ছোটবেলায় আমি কোলেপিঠে নিতাম ভাগনে আমার বড় হবার পর ভুলেই গেছে এটা কিংবা হয়তো অজানা তার।
ও বলতে ভুলে গিয়েছি আমার কোনো মামা নেই আমার মা ও তার একমাত্র বোন মহিজন খালা। তাই মামার আদর হয়তো কি বুঝি না তেমন। ঝাড়ুয়ার ডাঙা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া শুরু হলো। এর আগে বাড়ির পাশেই ব্রাক স্কুলে পড়ানো হতো আমি দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে খেয়াল করতাম। তখন রোল শুরু হতো উল্টোদিক থেকে মানে যে ভালো ছাত্র তার রোল সবার শেষে। আর এই ২০২০ সালে শুরুই হয়েছে সেরা ১ দিয়ে।
তালকুড়ানো আর আমকুড়ানো স্মৃতি মনে পড়ে খুব। ফজরের সালাত আদায় করেই তালগাছের কোনে দৌড়। তাল কুড়িয়ে পেলে কি যে আনন্দ আর গর্ব হতো , মা কতই খুশি হতো। এদিকে ঝড় উঠলেই নিজের বাগানে আম কুড়ানো সুখ আহা। আর পাশের আরবি মক্তবে সকালে উঠেই যেতে হতো আরবী পড়তে। গ্রাম্য ভাপাপিঠার রেশ এখনো জীবন্ত হয়ে আছে মনের মনিকোঠায়।
খুব ছোট ছিলাম যখন একবার খালার বাসায় গিয়েছিলাম। খালাত ভাই মোজাহারের ছেলে আরিফকে গ্রাম্য জাত গোখরা সাপে ধরেছিলো বড় ভাই তাকে বিছানাসুদ্ধ টেনে আঙ্গিনায় নামিয়ে বাঁচিয়েছিল। আরেক খালাত ভাই মোসলেম দেখলেই বলে উঠতো কিরে গালদোলা । আমিও তাকে ধুমাবাকালি বলা ছাড়তাম না। বয়স তখন ৫-৬ বছর হবে হয়তো। খুব অল্প বয়সের কথাও হলফ করে মনে করতে পারি কিভাবে তা জানিনা। একবার স্বপ্নে দেখি হাসিমুখে আমার নানা নানী আকাশ থেকে গাড়ি নিয়ে এসে আমাকে বিস্কুট খেতে দিয়ে চলে গেলো।
টিভি সিরিয়ালের বিখ্যাত আলিফ লায়লা দেখা শুরু করেছিলাম বেলি নামক এক দাদীর বাড়িতে (এখনো গ্রামে গেলে দাদীকে সাহায্য করি)তখন গ্রামে মাত্র একটাই টিভি । তা ২০০০ সালের কিছু পরের কথা একেবারে পিচ্চিকালের কথা। সেই সুর বাজলেই দৌড় দিতাম ফলশ্রুতিতে মা বাবার শাসন ও নিতে হতো।
একবার তো গরুর গাড়িতে বসে একটা বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম সম্ভবত ২০০৬ কিংবা ২০০৮ সালের কথা । আমার মা বাবা হজ্ব করে আসেন ২০১০ সালে। তার কিছুবছর আগে আমার নানাবংশে পুরো গ্রামে একটাই সাইকেল ছিলো। সাইকেল নিয়ে বেরোলে নাকি বাচ্চারা সবাই পিছু নিয়ে দৌড়াতো সাইকেল দেখার জন্য । আর এখন আমরা মেট্রো রেল পর্যন্ত ঢাকার বুকে পাচ্ছি। আমার নানা নাকি হেঁটে হেঁটে বাজারে যেতো বহুদুর। তখন যোগাযোগ এর জন্য এতোকিছু আবিষ্কৃত হয় নি।পানি জাহাজে তিন মাস লেগে যেতো হজ্বে যেতে যা আমার নানার অভিজ্ঞতা শুনেছি আমার মায়ের থেকে। শুরু হলো স্কুল জীবন । স্কুলে আলিফ স্যার , রুনা আপা ,শাজাহান স্যার ,হাসান স্যার সহ সবার অনেক আদরের ছিলাম । কখনো কারো সাথে তর্কে জড়াতাম না। কিন্তু তখন ছাত্র এতো ভালো না হওয়ায় বাবা ৫ম শ্রেণি থেকে পুনরায় দুই ক্লাস নামিয়ে আমাকে ৪র্থ শ্রেণিতে ভর্তি করিয়েছিলো। ফলশ্রুতিতে ওইবার ক্লাসে ১ম স্থান অর্জন করলাম মানে ক্লাসে সেরা। উৎসাহ পেয়ে পরের বার স্কুল সেরা ছাত্র হয়ে গেলাম। তখন বইয়ের প্রতি এতোটাই ঝোক চলে আসলো পড়তে পড়তে মুখ দিয়ে মিষ্টি লালা বের হতো আরো আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। গ্রামের লাইব্রেরীর সবগুলো বই একমাসের মধ্যে পড়ে শেষ করেছিলাম আর বার বার নতুন বই আনার জন্য ধর্ণা দিতাম। পরবর্তীতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণিতে ১ম এবং হাই স্কুলে সেরা ছাত্র ছিলাম ঝাড়ুয়ার ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এদিকে নবম শ্রেণিতে ওঠার কয়েকমাস পরেই নিজে নিজেই সব বই পড়ে শেষ করে ফেললাম। প্রধান শিক্ষক জাকির স্যারকে বললাম অগ্রিম বড় ভাইয়াদের সাথে এসএসসি প্রাকনির্বাচনী পরীক্ষা দেবো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে নবম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় আমি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাথে প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিলাম এবং পাশও করেছিলাম। মিঠু স্যার ,আমিনুল স্যার , অহিদুল স্যার, হিরন্য স্যার, আউয়াল স্যার ও নাসরিন আপা সহ সবাই অনেক ভালোবাসতো। পর্যায়ক্রমে স্কুল , এরপরে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ , এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বাংলা কলেজে গণিতে অধ্যয়ন শুরু করলাম পাশাপাশি ইংরেজি ভালো লাগতো তাই গণিতের প্যারাময় অনার্স এর চাপ কমাতে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিও শুরু করি যা চলমান। মায়ের কথা ভেবেও কখনো মেয়ে বন্ধুর চিন্তা আসে নাই। বার বার মনে আসে ধর্মীয় অনুভূতি যে, বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুত্ব হারাম ,হারাম। ছেলের সাথে মেয়ের বন্ধুত্ব হারাম এবং মেয়ের সাথে ছেলের বন্ধুত্ব হারাম। কথাগুলো লেইম না? হ্যাঁ তবে এটাই বাস্তব। বর্তমানে আমরা সবাই পাপী কিন্তু অন্যের পাপ দেখলে নিজের পাপ ভুলে পাল্লা দিয়ে মাপা শুরু করে দিই এইটাই সমস্যা। তবে হ্যাঁ আমার এই অক্লান্ত পরিশ্রমী দেহের পাশাপাশি সুন্দর একটা মন আছে । পুরুষ মানুষের যত্ন ভীষণ সুন্দর কারো নাম মিশে গেলে কারো সাধ্য নেই সেটা মুছে দেয়ার। না পাওয়ার অভিযোগ গুলো বাদ দিয়ে, সৃষ্টিকর্তা যতোটুকু দিয়েছেন ততোটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারলে এবং কারো পিছনে না লাগলে জীবন সুন্দর হবে । নিজের জন্য নয়, সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য প্রিয়জনদের নিয়ে বাঁচতে চাই, দায়িত্ববান হওয়াটা সহজ না তবে ভীষণ সন্তুষ্টির। পরবর্তী কষ্টের কথা আর না বলি সবার সামনে , এরপরেই সামনের দিকে আগানোর জন্য কষ্ট গুলো একসাথে করে নিজেকে একা একা সময় দিয়ে ট্যুর দিয়ে দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করে প্রচুর জেদ নিয়ে আসলাম এই ভেবে যে, কাজে এতই ব্যস্ত থাকবো যেনো শয়তান ও প্রশ্রয় না পায়, ভালো কিছু করবো ইনশাআল্লাহ করে যাচ্ছি সামনেও করবো । যাই হোক, আমার জীবনে কোনো মেয়ে বান্ধবী নেই একমাত্র মা ছাড়া। এভাবেই কবে যে কাজ করতে করতে জীবনের একাংশ ২৫ বছর চলেই গেল বুঝে উঠতে পারি না।
পুরোনো কিছু কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম যে কিভাবে নিজের পায়ে দাঁড়ালাম ,বাবা ভার্সিটি ভর্তি কোচিং করানোর সময় প্রায় ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা খরচ করেছেন তার হিসেবও রাখা হয়েছিলো পুরোনো কাগজে সেটাও উদ্ধার করতে সক্ষম হলাম। মেডিকেল এডমিশনের আগের দিনগুলো এতোই পড়াশোনা করতাম যে কমোডে বসেও শুধুমাত্র ফেসবুকে গ্রুপগুলোই একটু দেখেই ফোন রেখে দিতাম । কখনো এক হাতে দাঁত মাজতে মাজতে অন্য হাতে পেপার পড়তাম কেননা ভালো কিছু করতেই হবে যে। মেডিকেলে পাশ করলেও সরকারিতে হলো না কেননা বাবার মুক্তিযোদ্ধা কোটাও করেন নি তাই এতো টাকা দিয়ে বেসরকারি মেডিকেল এ যাওয়া হলো না। যেতে হলো ভার্সিটিতে। ঢাকায় এসে ঠিকই বুঝলাম পায়ের নিচে মাটি নাই । বাবা মা'র যা আছে থাকুক আমার কি আছে?? আমার নিজের কিছু করা উচিত। এই বয়সেই চাকুরী খুজতে শুরু করলাম। যত কষ্ট হোক না কেনো নিজের জন্য কিছু করতেই হবে। করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এদিকে ঢাবির প্রতি প্রচুর ভালোবাসা কাজ করতো । প্রায়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি গিয়ের একা একা বসে থাকতাম কিংবা শহীদুল্লাহ হলের সামনে কিংবা কেন্দ্রীয় মাঠে। অথবা কার্জন হলের সামনের রাঙ্গানো মাঠে একা একা বসে থাকতে খুবই ভালো লাগতো।
এদিকে বাসা থেকে সময় নিয়েছিলাম ছয় মাস এই মর্মে যে এরপরে আর কোনো টাকা আপনাদের দিতে হবে না।
সংকল্প পূরণ করতে মেস থেকে বের হয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে সিভি নিয়ে যাইতাম। সবার কাছে টিউশনি ধর্না দিতাম। মাকে কল দিয়ে এদিকে চোখের পানি ঝরলেও বুঝতে দিতাম না হেসে হেসে কথা বলতাম। মা বলতো পাগল ছেলে আমার । মাকে কল দিতাম শুধুমাত্র বাবা ডাকটুকু শোনার জন্য এর মাঝে যে কি শান্তি আছে বলে বোঝাতে পারবো না।
জনকন্ঠ ভবনে গ্লোব ইনসিকটিসাইটস লিমিটেড এ এসআর এর চাকুরী শুরু করেছিলাম । কয়েকদিন পর আমার চেহারা চেনার উপায় নেই রোদে পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে। তার ৭ দিন পরই সেই চাকুরী ত্যাগ করে টিউশনি শুরু করলাম। মাত্র দু তিন হাজার টাকার টিউশনি শুরু করেছিলাম । একটা বাইসাইকেল কিনেছিলাম শখে টাকার অভাবে আমার এক শিক্ষার্থী মায়ানীর ভাই ইমরানের কাছে বেঁচে দিতে হয়েছিলো। মাত্র দুজন শিক্ষার্থী অনিক ও নাইমকে নিয়ে দুহাজার টাকা ঘর ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট ব্যাচ শুরু করলাম । কোচিং এর পোষ্টার নিজেই আমি দেয়ালে দেয়ালে লাগিয়েছিলাম এতে আমার দুই শিক্ষার্থী অনিক এবং নাঈম প্রচুর সহযোগিতা করেছিলো । এর ছয়মাস পরে সাফল্য দেখা দিলো। জিনিয়াস শিক্ষা পরিবারে হলি ক্রস ভর্তি কোচিং এ অভাবনীয় সাফল্যের দেখা পেলাম। যদিও কোচিং করে সবাই চান্স পায় না এটি একটি ট্রেন্ড মাত্র তবুও চেষ্টা তো করতেই হবে শেখার জন্য নতুনত্বের জন্য।
এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে আমার কাছে । এখন আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জিনিয়াস শিক্ষা পরিবারে শিক্ষার্থীরা ৫ থেকে ৬ মাস আগেও আসন বুকিং দেয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও মা বাবার দোয়া না থাকলে কখনোই এত দূর যেতে পারতাম না ।
ও ভুলেই গিয়েছিলাম দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় আমার সহপাঠীদেরই আমি নিজেই প্রাইভেট পড়িয়েছিলাম লাইব্রেরীতে এবং পরিশেষে আমার বাড়িতেও টিউশনি করিয়েছিলাম । অন্যকে পড়ানো শুরু হয়েছিলো তখন সেই শখ ও আগ্রহ থেকেই ও বলতে ভুলেই গিয়েছি , রাস্তা দিয়ে চলার সময় দুঃখী কাউকে নজরে পড়লে তার উপকার না করা পর্যন্ত নড়তাম না। কিন্তু ঢাকা শহরের কিছু মানুষ অন্যকে রাস্তা পড়ে থাকতে দেখলেও এগিয়ে আসে না।
মোনাজাতে বসলে আগে আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে ক্ষমা চাই আমার পাপের জন্য কিংব আমার মাধ্যমে কারো পাপ হয়ে থাকলে তাদের ক্ষমার জন্য। আর বলতে থাকি আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার মাধ্যমে যাদের পাপ বা অন্যায় হয়েছে তাদেরকেও ক্ষমা করে নিষ্পাপ করে দাও।
আসলে জিন্দা থাকলে নিন্দা তো আসবেই সুতরাং এই জেনারেশনের কিছু অসুস্থ লোকের কথায় হতাশ না হয়ে এগিয়ে যেতেই হবে অন্যথায় কেউ ই আশার আলো খুজে পাবেন না। একবার তো পুরো ঢাকা পায়ে হেঁটে ঘুরেছিলাম। আমি বাসে কিংবা প্রাইভেট কারে কিংবা সিএনজিতে উঠি না দম বন্ধ লাগে বলে । রিকশা কিংবা বাইক কিংবা পায়ে হেঁটে চলি। আমার মাইগ্রেন প্রব্লেমটাই আমাকে এমন করেছে । বদ্ধ পরিবেশে চলাচল আমি করি না। আর একটু আরামপ্রিয় বলাও চলে কেননা নির্ভেজাল থাকতে খুবই ভালোবাসি আর প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে যেতাম না কোথাও। খুব খারাপ লাগলে জিয়া উদ্যানে গিয়ে একা একা বসে থেকে আবার চলে আসতাম।
আমার বাবা একাত্তরের মহান মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু সনদ পর্যন্ত পান নাই। কাঠলা ইয়ুথ রিসিপসনিস্টে যোগ দিয়ে (ক্রমিক-৬৩৮ নং এজাজুল হক তারিখঃ ১৫-০৯-১৯৭১) যুদ্ধ করেছেন কিন্তু সনদ গ্রহণের চেষ্টা করেন নাই বিধায় নাম আসে নাই গেজেটে। এদিকে সুবেদার মেজর মোঃ আব্বাছ আলীর প্রত্যয়নপত্র দিয়েও গেজেটেড হন নি। অথচ একই ক্যাম্প এর ক্রমিক-১৬৪৯ নং (মোস্তাফিজুর রহমান) যিনি সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী তিনি মুক্তিযোদ্ধা আর আমার মহান মুক্তিযোদ্ধা বাবা যুদ্ধক্ষেত্রে অবদান কি সবই ফক্কিকার? আহা কতটা দুঃখজনক। বাবা তাই বলেন, থাক প্রচলিত সার্টিফিকেট আর কিছু পয়সার জন্য তো আর যুদ্ধ করি নি ওরাই সুবিধা ভোগ করুক আল্লাহ যা রাখছে আলহামদুলিল্লাহ """"
বর্তমানে,
জিকরুল হক ফার্মগেটের স্বনামধন্য জিনিয়াস শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক , আইন সহায়তা কেন্দ্র আসকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকা সহ বেশকিছু পত্রিকায় সংবাদকর্মী হিসেবেও তিনি কাজ করেন। এছাড়াও তিনি দেশের সম্ভাবনাময় এপস Go Bangladesh IT,র তথা GO Bangladesh Apps এর প্রধান ও সিইও যার কাজ চলমান, যা ২০২৩ সালে চালু হতে যাচ্ছে।
Education
[edit]- Jharuar Danga High School
- Adarsha Degree College Parbatipur Dinajpur
- University Of Dhaka (Affiliated Govt Bangla College)
- Royal University Of Dhaka
C.E.O and Founder
[edit]জিকরুল হক ফার্মগেটের স্বনামধন্য জিনিয়াস শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক , আইন সহায়তা কেন্দ্র আসকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকা সহ বেশকিছু পত্রিকায় সংবাদকর্মী হিসেবেও তিনি কাজ করেন। এছাড়াও তিনি দেশের সম্ভাবনাময় এপস Go Bangladesh IT,র তথা GO Bangladesh Apps এর প্রধান ও সিইও যার কাজ চলমান, যা ২০২৩ সালে চালু হতে যাচ্ছে।
Education Courses
[edit]জিকরুল স্যারের ফার্মগেট এর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জিনিয়াস শিক্ষা পরিবারের মূল প্রোগ্রামগুলিঃ
- হলি ক্রস কলেজ ভর্তির সেরা কোচিং (সম্পূর্ণ কোর্স)
- হলি ক্রস স্কুলের ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণির ভর্তি কোচিং (সম্পূর্ণ কোর্স)
- একাডেমিক স্পেশাল প্রাইভেট ব্যাচ (বাৎসরিক কোর্স)
- এইচএসসি স্পেশাল প্রাইভেট ব্যাচ (বাৎসরিক কোর্স)
হেডঅফিসঃ ৪৬/১, হলি ক্রস কলেজের বিপরীতে, হলি বুকস লাইব্রেরী সংলগ্ন, তেজগাও, ফার্মগেট,ঢাকা-১২১৫
Personal Favorite Quotes
[edit]- পুরুষ মানুষের যত্ন ভীষণ সুন্দর কারো নাম মিশে গেলে কারো সাধ্য নেই সেটা মুছে দেয়ার। . .... *না পাওয়ার অভিযোগ গুলো বাদ দিয়ে, সৃষ্টিকর্তা যতোটুকু দিয়েছেন ততোটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারলে এবং কারো পিছনে না লাগলে জীবন সুন্দর হবে । *নিজের জন্য নয়, সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য প্রিয়জনদের নিয়ে বাঁচতে চাই, দায়িত্ববান হওয়াটা সহজ না তবে ভীষণ সন্তুষ্টির।
Domestic & International Campaign
[edit]ফার্মগেট এর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জিনিয়াস শিক্ষা পরিবারের প্রচারণা দেশব্যাপী। সারা বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা জিনিয়াসে পড়াশোনা করতে আসে। দেশের প্রতিটি জেলায় জিনিয়াসের প্রচার ও প্রচারণা রয়েছে। শিক্ষার আলো বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছে জিকরুল স্যারের জিনিয়াস শিক্ষা পরিবার। এছাড়াও Go Bangladesh Apps এর মাধ্যমে সারা দেশে রাইডিং ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে যা হবে পর্যায়ক্রমে সারা বিশ্বে, ভবিষ্যৎ এ Go Bangladesh Apps দেশ ও বিশ্বের কাছে অধিক ভূমিকা পালন করবে।